জন্ম নিলেন শেখ মুজিবুর গোপালগঞ্জের টুংগিপাড়ায়,
স্বর্ণাক্ষরে তোমার নামটি লেখা রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
মাতা তোমার সায়রা খাতুন পিতা লুৎফর রহমান,
ধন্য তুমি রত্নগর্ভা তোমার ছেলে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
যে মানুষটি জন্ম নিল ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ,
স্বাধীন হল বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ।
তাঁর ডাকে লক্ষ মানুষ হলো জড়ো ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে,
তারিখটি ছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ আছে সবার স্মরণে।
স্বাধীনতার ডাক দিলেন বঙ্গবন্ধু মাত্র ত্রিশ মিনিটের ভাষণে,
তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধের জন্য হল প্রস্তুত, সাহস পেল মনে।
২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে শুরু হল নারকীয় গণহত্যা,
নির্বিচারে চালালো গুলি পাকিস্তানী সামরিক জান্তা।
শুরু হল তুমুল যুদ্ধ চলল দীর্ঘ নয় মাস ধরে,
১৬ ই ডিসেম্বরে বাঙ্গালীর হল জয় মুক্তির আনন্দ ঘরে ঘরে।
পাকিস্তান কারাগার থেকে মুজিব এসে যখন ধরলেন রাষ্ট্রের হাল,
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে তখন দেখলেন ধ্বংস আর মরা মানুষের কঙ্কাল।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে যখন বঙ্গবন্ধু নিয়ে যাচ্ছে দেশটি এগিয়ে,
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এক নারকীয় হত্যাকান্ড ঘটল ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতে।
বঙ্গবন্ধুর পরিবার আত্মীয় স্বজন কেউ রইল না বেঁচে,
এমন নারকীয় হত্যাকান্ড কেউ দেখেনি পৃথিবীর কোন কালে।
সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়ায় বেঁচে থাকল শুধু হাসিনা আর রেহেনা,
এবার দেশের হাল ধরেছে শক্ত হাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়ন চলছে দেশে, এগিয়ে যাচ্ছে দেশ,
বিশ্ববাসী অবাক, শেখ হাসিনার পরিকল্পনাতো বেশ।
ডিজিটাল বাংলার রূপকার বঙ্গবন্ধু তনয়া-জননেত্রী শেখ হাসিনা,
গোটা পৃথিবীতে নেই তাঁর সমকক্ষ, জুড়ি তাঁর মেলাতে পারিনা।
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা বছরের পর বছর আয়ূ দেন যেন তাঁর,
এই প্রার্থনা করি মোরা মহান স্রষ্টার উপর।
জাতীর পিতার যে ভাষণটি বাজাতে দেয়নি ২১টি বছর ধরে,
ইউনেস্কো সম্মেলনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ক্ষমতা রদ-বদলের পর বঙ্গবন্ধুর ছবি যখন সব প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে নেয়,
বৃটিশ জরীপে সে ছবিটি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশের অবস্থান থাকবে যতদিন পৃথিবীর মানচিত্রে,
ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধুর নামটি ততদিন লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।